Love story
A JOURNEY OF LOVE
আল-আমিনের শিক্ষা
কাহিনী: আল-আমিনের শিক্ষা
একবারের কথা, সৌরভ নামে একটি গ্রামে এক ছোট্ট ছেলে ছিল, যার নাম আল-আমিন। আল-আমিন ছিল ১২ বছর বয়সী, অত্যন্ত শ্রদ্ধাবনত এবং সৎ। তার বাবা-মা তাকে ইসলামিক শিক্ষায় প্রতিদিন নিয়মিত পাঠ দিতেন এবং তাকে নৈতিক মূল্যবোধের উপর ভিত্তি করে শিক্ষা দিতে চেষ্টা করতেন। আল-আমিন গরিব পরিবারের সন্তান ছিল, কিন্তু তার মন ছিল ধনী। সে সারাক্ষণ নতুন কিছু শেখার জন্য আগ্রহী ছিল।
111
একদিন, অগ্রিম পাঠের পর, আল-আমিন তার বাবার কাছে গেল এবং বলল, "বাবা, আমি একটি নতুন ইতিহাসের গল্প পড়তে চাই।" তার বাবা তাকে বললেন, "আমার সন্তান, ইসলাম ইতিহাসের গল্পগুলো খুব শিক্ষণীয়। আমি তোমাকে একটি গল্প বলি।"
111
তার বাবা শুরু করলেন, "আল্লাহ তায়ালা আমাদের জন্য একজন উম্মাতের নেতা পাঠিয়েছিলেন, যিনি আমাদেরকে সৎপথে নিয়ে যাওয়ার জন্য দৃষ্টান্ত তৈরি করেছেন। তাঁর নাম ছিল আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ (সঃ)। তিনি যখন ৪০ বছর বয়সে নবুয়াত পাত্র হন, তখন তিনি মানুষের জন্য আল্লাহর বার্তা নিয়ে এসেছিলেন। কিন্তু সেই বার্তার কারণে অনেকেই তাঁকে অস্বীকার করত।"
111
আল-আমিন কৌতূহল নিয়ে জিজ্ঞেস করল, "বাবা, তাঁকে কেউ কেন অস্বীকার করেছিল?"
111
বাবা বললেন, "কারণ তখনকার সমাজের মানুষ বিভিন্ন মূর্তিপূজা এবং খারাপ আচরণে লিপ্ত ছিল। তারা সত্যি এবং সৎতার ডাককে গ্রহণ করতে পারেনি। নবীজি তাঁদেরকে সত্যের পথে ফিরিয়ে আনতে চেষ্টা করলেন। কিন্তু তিনি অনেক কষ্টের সম্মুখীন হতেন।"
111
এটি শুনে আল-আমিন বলল, "বাবা, নবীজি কি কখনো হাল ছাড়েননি?"
111
তার বাবা উত্তর দিলেন, "بالکل, একদমই।’ নবীজি সবসময় আল্লাহর উপর ভরসা করেছেন এবং তিনি জানতেন যে ইসলামের বার্তা একদিন আলোর মতো ছড়িয়ে পড়বে। যেমনটা আল্লাহর পবিত্র কোরআনে বলা হয়েছে: ‘ইননা নাহনু নাযযাল্নাযিকির, ওয় ইন্না লাহো লাহাফেজুন’।"
111
আল-আমিন খুব মুগ্ধ হয়ে জিজ্ঞেস করল, "বাবা, নবীজির জীবনের সবচেয়ে বড় শিক্ষা কী?"
111
তার বাবা হেসে বলেন, "নবীজির জীবন আমাদের শেখায় যে, ধৈর্য এবং সহানুভূতি আমাদেরকে প্রতিটি বিপত্তির মধ্যে দিয়ে যেতে সাহায্য করে। তিনি আমাদের শেখিয়েছেন যে, অন্যদের প্রতি সদয় হওয়া এবং তাদের সাহায্য করা আমাদের কর্তব্য।"
111
এক রাতে, আল-আমিন ঘুমাতে গেলে তার মনে পড়ল নবীজির কথা। সে সিদ্ধান্ত নিল যে সে তার জীবনে নবীজির বইয়ের আদর্শ অনুসরণ করবে। পরদিন থেকেই সে তার স্কুলে তার সহপাঠীদের সাথে বেশি সদয় হয়ে উঠল। সে তাদের সাথে শেয়ার করছিল, যখন কেউ তাঁর কাছে কিছু চাইতো।
111
কিছুদিন পর, আল-আমিন দেখল তার সহপাঠীরা তাকে স্নেহের দৃষ্টিতে দেখছে। তারা বলল, "আল-আমিন, তুমি তো আমাদের বন্ধু হয়ে গেছ। তুমি সবসময় আমাদের সাহায্য করো।" আল-আমিন তাদেরকে হাসিমুখে বলল, "এতেই তো আমার আনন্দ!"
111
একদিন, আল-আমিনের স্কুলে একটি বড় সমস্যা দেখা দিল। তার এক সহপাঠী, রায়ান, পড়ালেখায় খুব পিছিয়ে পড়েছে। রায়ানের পরিবার খুব দরিদ্র ছিল, তাই তার বাবা তাকে পড়ানোর জন্য সময় দিতে পারতেন না। ফলে রায়ানের হাতে অনেক কাজ থাকে, ফলে সে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছিল।
111
আল-আমিন দৃঢ় প্রতিজ্ঞ হল রায়ানকে সাহায্য করার। সে সাপ্তাহিক ছুটির দিনগুলোতে রায়ানের কাছে গিয়ে তাকে পড়ানোর সিদ্ধান্ত নিল। প্রথমে রায়ান ভয় পান, কিন্তু আল-আমিনের সহানুভূতি দেখে সে একটু কিছুটা নিশ্চিন্ত হল। আল-আমিন ধীরে ধীরে তার সঙ্গীকে শিক্ষার মাধ্যমে সাহায্য করে।
111
কয়েক সপ্তাহ পর, রায়ান পড়াশুনায় আগের থেকে অনেক ভালো করছিল। সে পরীক্ষায় ভালো নম্বরও পেয়ে গেল।...See More<script type="text/javascript">
atOptions = {
'key' : '9f229ca02efb372e42a25a3aa2fad8d7',
'format' : 'iframe',
'height' : 90,
'width' : 728,
'params' : {}
};
</script>
<script type="text/javascript" src="//www.highperformanceformat.com/9f229ca02efb372e42a25a3aa2fad8d7/invoke.js"></script>
<script type="text/javascript"> atOptions = { 'key' : '9f229ca02efb372e42a25a3aa2fad8d7', 'format' : 'iframe', 'height' : 90, 'width' : 728, 'params' : {} }; </script> <script type="text/javascript" src="//www.highperformanceformat.com/9f229ca02efb372e42a25a3aa2fad8d7/invoke.js"></script><script type="text/javascript">
atOptions = { 'key' : '9f229ca02efb372e42a25a3aa2fad8d7', 'format' : 'iframe', 'height' : 90, 'width' : 728, 'params' : {} }; </script> <script type="text/javascript" src="//www.highperformanceformat.com/9f229ca02efb372e42a25a3aa2fad8d7/invoke.js"></script>"হারিয়ে যাওয়া স্বপ্ন"।
শিরোনাম: হারিয়ে যাওয়া স্বপ্ন
প্রথম পর্ব: নদীর তীরে এক ছোটো গ্রাম
বাঙালির প্রিয় নদী গঙ্গা বহু বছর ধরে প্রবাহিত হচ্ছে। তার তীরে গড়ে উঠেছে একটি ছোটো গ্রাম, যার নাম শ্রীমঙ্গল। এই গ্রামটি তার বিস্তৃত নদীর সৌন্দর্যের জন্য পরিচিত। গ্রামের ভেতরে কচি কচি লতা-পাতার মতো ছোট ছোট বাড়ি। সব বাড়ির গায়ে টিনের চাল, আর মাথার ওপর গাছের ছাঁয়া। এ গ্রামে বাস করে এনা, একটি মিষ্টি মুখের দোহিত্রীর। এনার বয়স বছর তেরো।
এনা ছিল সব সময় হাস্যময়ী। তার বাবা নিতন বাবু গাছপালা নিয়ে কাজ করতেন, আর মা রুনা দেবী গৃহিণী। তাদের জীবনযাপন খুবই সাদাসিধে আর সুখে। এনার সবচেয়ে প্রিয় বন্ধু ছিল রাহুল, যে ছিল তার পাশের বাড়ির ছেলে। উভয়েই স্কুলের পাশাপাশি সারা দিন একসাথে দৌড়ানো, খেলাধুলা করত। তারা নদীর তীরে বসে গল্প করত, তারা স্বপ্ন দেখত একদিন বড় হয়ে কি হবে।
দ্বিতীয় পর্ব: একটি অদ্ভুত ঘটনা
একদিন সকালে, এনা আর রাহুল নদীর তীরে খেলতে গেল। খেলতে খেলতে হঠাৎ তাদের চোখে পড়ল একটা পুরানো নৌকা। নৌকাটির রং ফিকে হয়ে গেছে, এবং এর গায়ে আগের সময়ের অনেক দাগ ছিল। এনা বলল, "রাহুল, আসো নৌকাটির কাছে যাই!" উভয়েই চলে গেল নৌকাটির কাছে। তারা নৌকাটির ভেতর প্রবেশ করলে হঠাৎ করে একটি পুরানো বই দেখতে পেল। বইয়ের পাতাগুলো ছিল অনেক মলিন, কিন্তু এখানে একটি শ্রীচরণ ছিল।
এনা বইটি খুলে পড়তে শুরু করল। বইটি ছিল পাহাড়ের ওপরে একটি স্বর্ণমন্দিরের গল্প। মন্দিরে বলা হয়েছিল যে ওই স্বর্ণমন্দিরের মধ্যে রয়েছে মহাকালের সোনালী খোঁজ, যা যদি কেউ খুঁজে পায়, তাহলে তার জীবনের সকল স্বপ্ন পূর্ণ হবে।
এনা ও রাহুল সেই স্বর্ণমন্দিরের খোঁজে বের হবে বলে ঠিক করে। তারা দুজনেই জানে যে এটির জন্য অনেক বড় সাহস এবং পরিশ্রম প্রয়োজন।
তৃতীয় পর্ব: স্বর্ণমন্দিরের অভিযানে
এনা ও রাহুল ঠিক করে নিল, আগামীকাল ভোরবেলা তারা অভিযানে বের হবে। সকালবেলা প্রভাতে, তারা একটি ব্যাগে প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম, কিছু খাবার এবং বইটি নিয়ে বের হলো। তারা নদী পার হয়ে সুন্দর একটি বনভূমিতে ঢুকল। সেই বনটি ছিল অন্ধকার আর রহস্যময়।
গাছগুলোর মধ্যে দিয়ে চলতে চলতে তারা এক অদ্ভুত শব্দ শুনতে পেল। এনা ভয় পেয়ে বলল, "রাহুল, কি আওয়াজ হলো?" রাহুল বলল, "হয়তো পশুর আওয়াজ হবে, ভয় পেলো না!"
অবশেষে তারা একটি উঁচু পাহাড়ের চূড়ায় পৌঁছাল। সেখানে একটি সাদা পাথরের মন্দিরের ধ্বংসাবশেষ দেখতে পেল। তারা ভাবল, এটি সেই স্বর্ণমন্দির। তারা খুব আনন্দিত হলো। কিন্তু সেখানে পৌঁছাতে গেলে তাদের সামনের রাস্তার দেয়ালে খোদাই করা কয়েকটি প্রাচীন রূপকথার ছবি দেখতে পেল। এগুলো ছিল বিভিন্ন পরীক্ষা আর বাধার পরিচায়ক।
চতুর্থ পর্ব: পরীক্ষার মুখোমুখি
এনাও রাহুলের সামনে ছিল তিনটি পরীক্ষা—
প্রথম পরীক্ষা ছিল সাহসের। তাদের সামনে দাঁড়িয়ে ছিল একটি বিশাল সামুদ্রিক দৈত্য। দৈত্যটি আদেশ দিল, "তোমাকে যদি আমার কাছে সত্য বলো, তাহলে আমি তোমাদের কোনো ক্ষতি করবো না।" এনা প্রাণ খুলে বলল, "আমরা শুধুমাত্র স্বর্ণমন্দিরের সন্ধানে এসেছি।" দৈত্য বিশ্বাস করল এবং তাদের পার করে দিল।
দ্বিতীয় পরীক্ষা ছিল বিচক্ষণতার। এখানে ছোট ছোট ধাঁধা ছিল। রাহুল বেশ অসুবিধায় পড়ে গেল, কিন্তু এনা তার দ্রুত চিন্তাশক্তির মাধ্যমে ধাঁধা সমাধান করে। তৃতীয় ও শেষ পরীক্ষাটি ছিল বন্ধুত্বের। মন্দিরের অন্দরে গিয়ে তারা দেখতে পেল...See More
আশ্রয়"
অবশ্যই, এখানে একটি গল্প রচনা করছি যেখানে ওসোহায় মা কেন্দ্রীয় চরিত্র:
---
### আশ্রয়
এক অন্ধকার রাত্রির কথা, গ্রামের প্রান্তে অবস্থিত ছোট্ট কুঁড়েঘরটিতে বসে আছেন ওসোহায় মা। একাকী এই বৃদ্ধা অস্থির জীবনের ধারক; দূর থেকে শুধু বাতাসের সোঁ সোঁ শব্দ শোনা যায়। ঘরের কোণে থাকা একটা ছোট মোমবাতির আলোয় তার মুখমণ্ডল অস্পষ্টভাবে দেখা যাচ্ছে। তার চোখে জমে আছে পৃথিবীর সব কষ্টের আঁচড়।
ওসোহায় মা এই গ্রামের সবচেয়ে বয়স্ক মহিলা, গ্রামে তিনি সকলের "মা" হিসেবেই পরিচিত। তার স্বামী মারা যান বহু বছর আগে, সন্তান নেই, নেই কোন আপনজন। কিন্তু গ্রামে কোন অসুখ হলে, কেউ বিপদে পড়লে প্রথম যে নাম মনে আসে তা হলো ওসোহায় মা। তবে বেশ কিছুদিন তিনি নিজেই অসুস্থ ছিলেন, কিন্তু তবুও কারো কাছে কিছু বলতে পারেননি।
আজকের রাতটা একটু অন্যরকম। হঠাৎ করেই বাইরের দরজায় তিনটে টোকা পড়ল। ওসোহায় মা একটু অবাক হয়েই দরজা খুলতে গেলেন। দরজার ওপাশে দাঁড়িয়ে আছে একটা ছোট্ট মেয়ে, বয়স দশ কি বারো বছর হবে। মেয়েটির দুচোখে ভয়, গায়ে ময়লা লেগে আছে, কাঁধে একটি ছোট ব্যাগ। ওসোহায় মা মেয়েটিকে চিনতে পারলেন না।
"কে তুমি, মা?" তাদের একাকী এই গ্রামে এত রাতে একজন অপরিচিত কিশোরী আসাতে মা বেশ চিন্তিত হলেন।
মেয়েটি মৃদু গলায় বলল, "আমার নাম রুপা, আমি মা-বাবার সাথে এই গ্রামে এসেছিলাম কাজে, কিন্তু তারা আমাকে এখানে ফেলে চলে গেছে। আমার আর কেউ নেই।"
মেয়েটির কথা শুনে মায়ের মন অস্থির হয়ে উঠল। তার ছোটবেলার স্মৃতি যেন ফিরে আসতে লাগল, যখন তিনিও একইভাবে অসহায় হয়ে পড়েছিলেন। মা হাত বাড়িয়ে মেয়েটিকে ভেতরে ডাকলেন, বললেন, "আয় মা, ভেতরে আয়।"
রুপা ভেতরে আসতেই মা তার মাথায় হাত বুলিয়ে বললেন, "ভয় পাবি না মা, তুই এখন আমার সাথেই থাকবি।"
এরপর দিনগুলো কাটতে শুরু করল। মা এবং রুপা একে অপরের সঙ্গ পেয়ে পরম শান্তি অনুভব করার লাগল। মা রুপাকে পড়াতে শুরু করলেন, প্রতিদিন গল্প শোনাতে থাকলেন তাকে। রুপা মায়ের কাছে বিভিন্ন কাজকর্ম শিখে নিল। তাদের সম্পর্ক ক্রমেই গাঢ় হতে লাগল।
গ্রামের অন্যান্য মানুষজনও রুপাকে পেয়ে খুশি হলো। মা যেভাবে মেয়েটিকে সেই একলা জীবন থেকে আশ্রয় দিয়েছিলেন, সেটি গ্রামের মানুষের মনে উদারতা এবং সম্মান আরও বাড়িয়ে দিল। মা এখন রুপাকে নিয়ে অনেক কিছু ভাবতে লাগলেন, কীভাবে মেয়েটির জীবনে আরও ভাল কিছু করতে পারেন।
একদিন মা রুপাকে নিয়ে গ্রামে ঘুরতে বের হলেন। পথে যেতে এক বৃদ্ধা এলেন, যিনি মায়ের খুব ঘনিষ্ঠ হলেও দীর্ঘদিন দেখা হয়নি। তারা রুপাকে দেখে খুব আনন্দিত হলেন এবং বলেন, "তুমি তো আবার নিজের মনের সন্তান খুঁজে পেয়েছ, তুমি সত্যিই আশীর্বাদ।"
মা হাসলেন, বললেন, "হ্যাঁ, আমি আশীর্বাদ পেয়েছি।" রুপা তাদের আলাপের মাঝে দাঁড়িয়ে স্নিগ্ধভাবে হাসতে লাগল।
মাস কয়েক পর, গ্রামে একটি নতুন স্কুল স্থাপনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হলো। ওসোহায় মা সেই উদ্যোগটির জন্য গ্রামের মানুষের কাছে আবেদন জানান যেন রুপা ও অন্যরা শিক্ষার আলো পেতে পারে। গ্রামের লোকজন তাদের শ্রদ্ধেয় মায়ের এই আবেদন মেনে খুব আগ্রহ এবং উৎসাহের সঙ্গে কাজ করতে শুরু করল। স্কুলটি দ্রুত গড়ে উঠল এবং তার প্রথম দিন থেকেই রুপার নতুন যাত্রা শুরু হলো।
স্কুল শুরু হলে রুপা দেখতে পেল কত কিছু শেখার আছে জীবন এবং পৃথিবী সম্পর্কে। ওসোহায় মা তাকে প্রতিদিন পাঠিয়ে দেন আর বলেন, "শিখতে থাক মা, এগিয়ে চল।"
এরপর দিন যায়, মাস যায়, বছরও কেটে যায় এইভাবেই। রুপা বড় হতে থাকে, ওসোহায় মা তাকে জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে প্ররোচনা দিয়েছেন। রুপা জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে মায়ের আশীর
Last Love
### Last Love
On a winter dawn, before the sun rose, somewhere in the city, the trees around seemed to bear the weight of winter on their shoulders, gazing at each other like the Shiuli and Shimul flowers. In this city, winter sometimes arrives, yet it often departs as well. However, the chill of winter in people's hearts remains unnoticed.
Amidst this ambiance, sat Rahi, a thirty-year-old man. He had experienced love, but each relationship was accompanied by a sense of unfulfillment. He finally had to admit that he might never find true love in his life. One afternoon, while Rahi was sitting on a park bench reading a book, a girl approached him suddenly. Her name was Maya, and her face bore a certain tranquility that mesmerized Rahi.
Maya smiled and said, "Are you reading a book? Is it good? I love reading books."
Rahi, captivated, replied, "Yes, books take me to a strange world."
Their conversation flowed, and they began to learn about one another. Maya was an artist, and her paintings touched the hearts of those who beheld them. Gradually, their bond grew stronger; they spent time together, chatted, and shared the various emotions that love brings. But little did Rahi know, Maya harbored a secret.
One day, as they sat on the bench reminiscing about happy memories, Maya suddenly said, "Rahi, I have something to tell you." Rahi turned his full attention to her. Then, Maya revealed, "I have been feeling unwell for some time."
"What kind of unwell?" Rahi asked, concerned.
"I...I have cancer. The situation is very complicated. But I am fighting until the end." Tears welled in Maya's eyes.
Rahi's heart shattered. Gazing into Maya's eyes, he realized the kind of struggle she was enduring. However, Maya assured him, "I don't want you to feel sad for my suffering. I am very happy with our friendship and love."
Rahi only held Maya's hand tightly. He understood that the strength within her heart had kept her alive. From that day onward, Rahi devoted himself to caring for Maya, checking in on her frequently. They watched movies together, walked in the park, and spent their time sharing various thoughts and dreams.
However, Maya's health continued to decline. The treatment proved ineffective, and the illness seemed to tighten its grip on her. Every day, Rahi visited Maya, reading her new books and doing everything in his power to be by her side. One day, Maya softly asked, "Rahi, if one day I am no longer here, will you forget me?"
"Never. I will always remember you like a cherished dream, as long as I live," Rahi replied.
A faint smile flickered on Maya's face. In this manner, their bond deepened, creating precious memories. Days turned into weeks, and one day, Maya fell seriously ill. They decided to admit her to the hospital. Rahi accompanied her, sitting beside her on the hospital bed, offering comfort.
### Hospital Days
One day, Rahi went to see Maya in the hospital. He saw her lying there, surrounded by many doctors and nurses. In a shaky voice, Rahi asked, "How are you feeling, Maya?"
Maya replied with a slight smile, "I'm still fighting."
Rahi sat down beside her, hesitating momentarily before saying, "You are the strongest person I’ve ever known. I admire your courage."
Maya's eyes sparkled. "Thank you, Rahi. Your support means the world to me. I want you to promise me something."
"Anything," Rahi replied.
"Promise me that you will live your life to the fullest, no matter what. Cherish the good moments and find love again when I'm gone."
Rahi nodded, tears filling his eyes. "I promise, Maya."
Their conversations continued, with Maya sharing her dreams for the future, her aspirations as an artist, and the things she valued most in life. Rahi listened intently, wanting to memorize every word.
Days passed, but Maya's condition worsened. One evening, as Rahi sat beside her, he sensed that the time was drawing near. He held her hand tightly, feeling the warmth slowly fading away. "Maya, you have to stay strong," he urged, though he knew the reality.
Maya looked at him, eyes filled with an understanding that transcended words. "Rahi, love is not about possession or ownership. It’s about cherishing moments. I will always be with you in spirit."
Tears rolled down Rahi's cheeks. "I can't imagine my life without you."
"But you must," Maya said softly, "You will find happiness again. Promise me you will."
"Okay," he
"শেষ ভালোবাসা
### শেষ ভালোবাসা
শীতের ভোরে সূর্য উঠে আসার পূর্বেই শহরের মধ্যে একানা, ঠিক কোথায় বলা যায় না। চারপাশের গাছগুলো যেন নিজেদের কাঁধে শীতের আবরণ নিয়ে শিউলি ও শিমুলের দিকে তাকিয়ে থাকে। এই শহরে শীত কখনো আসা যায়, আবার কখনোই চলে যায়। কিন্তু মানুষের হৃদয়ে যে শীতের আঁচ লেগে থাকে, সেটি কেউ বুঝতে চায় না।
সেখানে, একাকী বসে আছেন রাহী, বয়স মাত্র ত্রিশ। তাঁর জীবনে প্রেম এসেছে, তবে প্রতিটি সম্পর্কে এক ধরনের অপ্রাপ্তি ছিল। তাকে অবশেষে স্বীকার করতে হয়েছে যে, হয়তো তিনি জীবনে সত্যিকার ভালোবাসার সন্ধান পাননি। এক দুপুরে, যখন রাহী পার্কের বেঞ্চে বসে বই পড়ছিলেন, এক হঠাৎ করে একজন মেয়ের আগমন ঘটে। মেয়েটির নাম ছিল মায়া। তার মুখে এক ধরনের শান্তি ছিল, তাতে রাহী আকৃষ্ট হন।
মায়া রাহীকে বলল, "আপনি বই পড়ছেন? সেটা কি ভালো? আমি বই পড়তে খুব পছন্দ করি।"
রাহী মুগ্ধ হয়ে বলল, "হ্যাঁ, বই আমাকে এক অদ্ভুত জগতে নিয়ে যায়।"
এরপর দুজনের আলাপ শুরু হলো এবং তারা পরস্পরকে জানল। মায়া একজন শিল্পী, তার আঁকা ছবি সবসময় মানুষের মনকে ছুঁয়ে যায়। ধীরে ধীরে তাদের সম্পর্ক গড়ে উঠতে লাগল, একে অপরের সাথে সময় কাটানো, আড্ডা দেওয়া, আর প্রেমের নানা অনুভূতি ভাগাভাগি করা। কিন্তু রাহী জানতেন না, মায়ার জীবনে একটি গোপন রহস্য ছিল।
একদিন, মায়া তার সঙ্গী রাহীর সাথে বেঞ্চে বসে সুখের স্মৃতিচারণ করতে করতে হঠাৎ বলল, "রাহী, আমি তোমাকে একটি কথা বলবো।" রাহী পুরোদমে মায়ার দিকে তাকিয়ে ছিল। তখন মায়া বলল, "আমি কিছুদিন যাবৎ অসুস্থ অনুভব করছি।"
"কেমন অসুস্থ?" রাহী চিন্তিত হয়ে জিজ্ঞেস করলেন।
"আমি——আমি ক্যান্সারে আক্রান্ত। বিষয়টি খুব জটিল। তবে আমি শেষ পর্যন্ত লড়াই করছি।" মায়ার চোখে জল চলে আসছিল।
রাহীর হৃদয়টা ভেঙে যায়। মায়ার চোখের দিকে তাকিয়ে, সে বুঝতে পারে যে মায়ার জীবন এক কঠিন সময় পার করছে। তবে মায়া বলল, "আমি চাইনা তুমি আমার কষ্টের জন্য দু:খিত হও। আমি তুমি বন্ধুত্ব ও ভালোবাসা নিয়ে অনেক সুখী।"
রাহী পাশে বসে শুধু মায়ার হাত ধরেছিল। তিনি বুঝতে পারলেন, মায়ার হৃদয়ের মধ্যে যে শক্তি ছিল, সেটি তাকে প্রাণিত করে রেখেছে। এরপর থেকে রাহী মায়ার সাথে আরও বেশি খেয়াল করতে লাগল, খোঁজ খবর নিতে লাগল। তারা একসাথে সিনেমা দেখত, পার্কে হাঁটত এবং নানা ধরনের আলোচনায় নিজেদের সময় কাটাত।
কিন্তু মায়ার শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে থাকে। চিকিৎসায় সাহায্য কিন্তু রোগটা যেন কবজ করে রেখেছিল তাকে। রাহী প্রতিদিন মায়ার কাছে যেত, তার জন্য নতুন লেখা বই পড়তে লাগল, আর সর্বদা তার পাশে থাকতে চেষ্টা করল। মায়া বলতে শুরু করল, "রাহী, যদি একদিন আমি না থাকি, তুমি আমাকে ভুলে যাবে না তো?"
"কখনো না। আমি তোমাকে প্রিয় স্বপ্নের মতো মনে রাখবো, যতদিন বেঁচে থাকবো," রাহী উত্তর দিল।
মায়ার মুখে এক মৃদু হাসি ফুটল। এভাবে তারা একসাথে সময় কাটাতে কাটাতে অনেক স্মৃতি তৈরি করল। দিনগুলো গড়িয়ে গেল, একদিন মায়া খুবই অসুস্থ হয়ে পড়ল। হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার সিদ্ধান্ত নিল। রাহী তার সাথে গিয়ে হাসপাতালের বিছানায় বসে তাকে সান্ত্বনা দিতে লাগল।
### ক্লিনিকের দিন
একদিন রাহী গেল মায়ার কাছে। তিনি দেখলেন, মায়া হসপিটালে শুয়ে আছে, সেখানে অনেক চিকিৎসক এবং নার্স ঘুরে আসছিলো। রাহী কাঁপা কাঁপা গলায় বলল, "কীভাবে আছো, মায়া?"
মায়া কিছুটা হাসি দিয়ে বলল, "এখনো লড়াই করে যাচ্ছি। তুমি তো জানো,
শীতের সকালে গল্প
**শীতের সকাল**
শীতকাল এসেছে। চারপাশে যেন সবকিছু ঘুমাতে বসেছে। গাছপালা, পথঘাট, আকাশ—সবকিছুই যেন কুয়াশার চাদরে ঢেকে আছে। এই সময়টার জন্যই তো সকলেই অপেক্ষা করে। বিশেষ করে শিশুদের জন্য শীতকাল হলো এক চমৎকার সময়। তাদের চাহনিতেই ফুটে ওঠে আনন্দের হাসি।
শীতের সকালে সূর্যের প্রথম আলো ছড়াতে শুরু করেছে। গ্রামের পেছনে ছোট্ট একটি বাড়িতে বসবাস করে মিঠু ও তার দাদা। দাদা বয়সে প্রবীণ, কিন্তু মনে প্রাণে একজন তরুণ। শীতের সকাল তাদের জন্য একটি বিশেষ দিনের মতোই। দাদা ভোরবেলা ঘুম থেকে উঠেই সবকিছু প্রস্তুত করতে শুরু করেন। উষ্ণতার জন্য আগুন পোহানো, পিঠে পুলির জন্য আটা মেখে নেওয়া—এসব কাজ তিনি দক্ষ হাতে করেন।
মিঠু মনের মধ্যে অনেক স্বপ্ন নিয়ে আজ কিছুটা শীতল পরিবেশে ঘুম থেকে উঠেছে। সে জানে, আজ দাদার সঙ্গে তারা পিঠে বানাবে এবং তারপর তারা গ্রামের মেলা দেখতে যাবে। মেলা হলো শীতকালের এক বিশেষ আয়োজন, যেখানে শিশুরা আনন্দে খেলে, বড়রা পিঠে-পুলির স্বাদ নেয় এবং সবশেষে অবশেষে সন্ধ্যায় উৎসব উদযাপন করে।
“মিঠু!” দাদার ডাক শুনে সে দ্রুত তুলে নিয়েছে। “আজ পিঠে বানাবো আমরা। তুমি আমার সাথে এসো।”
“হ্যাঁ, দাদা!” বলে সে দাদাকে অনুসরণ করতে শুরু করে। দাদা আগুন পোহালেন এবং মিঠু আটা মেখে দিতে শুরু করলো। তারা দুজন মিলে পিঠে তৈরি করতে শুরু করেন। হতাশার কিছু নেই, সারাদিন তারা আনন্দে কাটাতে প্রস্তুত।
পিঠে বানানোর পর, তারা সাবধানীভাবে মেলার দিকে রওনা দেয়। পথে পথে শিশুরা খেলাধুলা করছে, কিছু ছেলে মেয়ে কুয়াশা নিয়ে খেলছে, আর কিছু বাচ্চা গাছের নিচে শীতল বাতাসে উষ্ণতার অনুভূতি নিতে ভ্রমণ শুরু করেছে।
মেলার মাঠে ঢোকার সঙ্গে সঙ্গে মিঠুর চোখে পড়ে অনেক কিছু। বড় বড় রঙ্গিন প্যান্ডেল, বিভিন্ন ধরনের খাবার লাইনে দাঁড়িয়ে আছে, আর মেলায় সেজে ওঠা মানুষজন। জোড়ালো হাসি আর আনন্দে ভরা পরিবেশে মিঠু যেন হারিয়ে যায়।
“দাদা, আমি এই গভীর রঙের মালা কিনবো!” মিঠু খুশিতে চিৎকার করে উঠে।
“ঠিক আছে, তবে একটা মাত্র মালা।” দাদা হাসতে থাকেন এবং মিঠুকে একটি মালা কিনে দেন। মিঠু মালাটি তার গলায় পরে ফ্যালফ্যাল করে হাসতে থাকে।
মেলা ঘুরে বেড়ানোতে সময় চলে যায়। মিঠু এবং দাদা বিভিন্ন রকমের খেলাগুলো দেখতে থাকে, যেমন পিঠে খেলনা, লটারি এবং নানান ধরনের গেমস। কিছু জায়গায় তারা প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে, যদিও মিঠুর বয়সে কিছুটা অগত্যা।
“দাদা, এই খেলায় তো আমি হারতে পারি,” মিঠু কিছুটা চিন্তিত হয়ে বলে।
“এতে হবে না। তুমি চেষ্টা করো, আশায় থাকো। খেলার মধ্যে আনন্দটাই প্রধান,” দাদা উত্তর দেন।
মেলার মধ্যে তারা খাবারের চাদরও বেঁধে নেয়। পিঠে বানানোর পরকারণে দাদার সঙ্গে বের হয়ে বড় বড় পিঠার পদের স্বাদ নেওয়া গেল, আর মিঠুর মুখে লোভনীয় খাবার সহযোগে রকমারি স্ন্যাক্স উপভোগ করে। মিঠুর আনন্দ যেন চরমান্তে পৌঁছে যায়।
দিন শেষে, মিঠু এবং দাদা বাড়িতে ফেরার পথ ধরেছে। সন্ধ্যার অন্ধকার আসতে শুরু করছে, এবং শীতল বাতাস গায়ে লাগতে লাগতে ধীরে ধীরে মৌতাত শুরু করেছে। মিঠু দুটি গরম পিঠে হাতে নিয়ে দাদার পাশে হালকা দোলায় দোলতে থাকে।
“দাদা, এই গতকালকের পিঠের স্বাদ আজকের থেকে ভালো ছিল,” মিঠু মজার ছলে বলেন।
“কিন্তু আজকের পিঠের সঙ্গে তোমার হাসি তো অন্যরকম!” দাদা প্রেমময়ভাবে প্রতিউত্তর দেন।
তাদের বাড়িতে পৌঁছামাত্রই দাদা আগুনের
দূরত্বের মাঝে ভালোবাসা"
### প্রেমের গল্প: একটি নতুন সূর্যের আলো
ঋতু পাল্টানোর সময়। বাঙালিরা যখন বর্ষার প্রথম বৃষ্টি উপভোগ করতে মাঠে পা রেখেছে, ঠিক তখনই কলকাতার এক প্রবীণ কলেজের ছাত্র অনুপম তার প্রিয় রেস্টুরেন্টের দিকে এগোচ্ছিল। মনটা একটু ভারী, কারণ পরীক্ষার ফলাফল ঘোষণা হতে চলেছে। তবে, অন্যদিকে, তার জীবনে একটি নতুন ঘটনা ঘটতে চলেছে।
এসব চিন্তায় ডুব দেওয়ার সময় হঠাৎই তার চোখের সামনে একজন তরুণী উদয় হলো। মেয়েটি ছিল সাদা কৃত্রিম হাতি কাঁধে নিয়ে। তার টাকায় একটি নীল শাড়ি এবং গলায় একটি সাদার ফুল ঝুলছে। অনুপমের মনে হল, যেন এক মৃদু আলোয়ের রেখা সারা পৃথিবীকে আলোকিত করে রাখল।
"এই মেয়েটা কীভাবে এখানে এল?" মনে মনে ভাবলো অনুপম। তার পায়ের দিকে চোখ রেখে মেয়েটা কাছে আসতে লাগল। কিছুক্ষণ পরে তার সাথে মোলাকাত হলো।
"আপনি কি আমার আগে এখানে আসেননি?" মেয়েটির প্রশ্নটি ছিল সরল, কিন্তু কেমন যেন গাঢ়। অনুপম নিজের বিভ্রান্তি গোপন রেখে বলল, "হ্যাঁ, আমি মাঝে মাঝে আসি। আপনার নাম কি?"
“মেঘনা,” সে হাসিমুখে উত্তর দিল।
মেঘনা আর অনুপমের মধ্যে আলাপ শুরু হলো। তারা একসঙ্গে বসে এক কাপ চা পান করতে লাগল। মেঘনা কলেজের গায়কী প্রতিযোগিতার প্রস্তুতি নিচ্ছিল, আর অনুপম ছিল সাহিত্যবিষয়ে আগ্রহী। দুজনেই একে অপরের প্রতি আকৃষ্ট হতে শুরু করল।
ব্যক্তিগত বিষয়গুলো শেয়ার করতে এক সপ্তাহ কেটে গেল। শহর জুড়ে তাদের হাঁটাহাঁটি, সিনেমা দেখা বা রেস্টুরেন্টে খাবার খাওয়া—এগুলোকে ঘিরে রঙিন স্মৃতি গড়ে তুলতে লাগল। তাঁদের বন্ধুত্ব ধীরে ধীরে প্রেমে রূপ নিয়েছে। অনুপম বুঝতে পারলো, মেঘনা তার জন্য স্পেশাল। তবে, মেঘনার জীবনেও কতটুকু চ্যালেঞ্জ।
দিনগুলো এমন কিছু পাল্টাল যেভাবে তাদের সম্পর্ক গাঢ় হয়েছিল, ঠিক তেমনই একদিন মেঘনা বলল, “অনুপম, আমি তোমাকে কিছু বলতে চাই।”
অনুপম একটু আশঙ্কিত হয়ে রাজি হলো, “বলো, আমি শুনছি।”
“আমি কলেজের পরে ভর্তি হতে যাচ্ছি। আমার বাবা-মা বিদেশে চলে যাচ্ছেন।” মেঘনার চোখে একটি আঙুলের জলের ছাপ ফুটে উঠিয়ে অনুপমকে দেখে, “আমি তোমাকে কোনও অন্তরায় তৈরি করতে চাই না। তুমি আমার জন্য গুরুত্বপূর্ণ, কিন্তু…”
অনুপমের হৃদয়ে যেন শূন্যতা তৈরী হলো, “তুমি কি আমাকে ভুলে যাবে?”
মেঘনা কিছুক্ষণ চিন্তা করল, তারপর বলল, “এটি আমার জন্যও খুব কঠিন, কিন্তু এটাই বাস্তবতা।”
### অধ্যায় ২: দূরত্ব এবং স্মৃতি
মেঘনার চলে যাবার পর অনুপমের জীবন যেন একদম অন্ধকার হয়ে গেল। কলেজে তার আগের উচ্ছ্বাস উধাও। প্রতিদিনের সহপাঠীরা কথা বললেও তার মনে মেঘনার স্মৃতিই প্রবাহিত হতে থাকলো। সে তার লেখা কবিতায় মেঘনার কথা লিখতে শুরু করল—কখনও হাসি, কখনও কান্না।
বারো মাস পরে, একদিন মেঘনা তাকে একবার ফোন করলো। অনুপম তখন নতুন কবিতা লেখার প্রস্তুতি নিচ্ছিল। ফোন শোনার পর তার হৃদয়ে আনন্দ হয়েছিল।
“কেমন আছো?” মেঘনা জিজ্ঞেস করল।
“তুমি কি জানো, আমি তোমাকে কতদিন ধরে মনে করছি?” অনুপম বলল, স্বাভাবিকভাবে।
“এটা আমার জন্যও সত্য,” মেঘনা খোলামেলা উত্তর দিল। “আমি তোমাকে ভুলতে পারিনি।”
মেঘনার কথা অনুপমকে আবার জীবন দিতে সূচনা করে। তিনি নতুন করে কবিতা লেখা শুরু করলেন, আর পাশাপাশি মেঘনার প্রতিটি কথাকে মনে রাখতে লাগলেন। তাদের মাঝে দূরত্ব ছিল কিন্তু ভালোবাসার কোনোদিকেই যেতে বাধা ছিল না।
### অধ্যায় ৩: পুনর্মিলন
একদিন অনুপমের কাছে একটি ফোন আসল। এটি ছিল মেঘনার
বাবার চাঁদের মতো মেয়ে" অথবা "বাবার সমর্থন
**বাবার সম্যান**
বাংলাদেশের একটি ছোট গ্রামে বাস করত বাবা সেলিম ও তার ছোট মেয়ে মারিয়া। বাবার সঙ্গে মারিয়ার সম্পর্কটা ছিল একেবারে বিশেষ। মা মারা যাওয়ার পর মারিয়া বাবার পৃথিবী হয়ে উঠেছিল। সেলিমের বয়স যখন মাত্র চল্লিশ, তখন তিনি একাই সবকিছু সামাল দিতে শুরু করেছিলেন। গ্রামে সবার কাছে তিনি ছিলেন একজন নিষ্ঠাবান, hardworking কৃষক।
মারিয়া ছোট্ট ছিল, কিন্তু তার ইনসাইট ছিল গভীর। সে জানত বাবার জীবনে নানা সংকট lurks করছিল। সেলিম শান্ত এবং ধীর, কিন্তু তার চোখের গভীরে ছিল এক সামান্য উদ্বেগ। প্রতিদিন সকালে তিনি মাঠে বের হতেন, आलু, পটেটো, এবং বিভিন্ন শাকসবজি চাষ করতেন। যেটা হাসপাতালে গিয়েছিলেন মা, তার অসুস্থতা ভেঙে দিয়েছিল পরিবারটাকে। সেই থেকে বাবার জন্য সমস্ত দায়িত্ব এসে পড়ে মারিয়ার ওপর।
দিনে দিনে মারিয়া বড় হতে থাকল। সে স্কুলে যেতে শুরু করে এবং নিজের পড়াশোনায় মনোযোগ দেয়। সেলিম সবসময় নিজের কাজের পর মারিয়াকে পড়তে সাহায্য করতেন। সারাদিনের পরিশ্রমের পরও রাতের আকাশে দেখা গেলেই সেলিম তার মেয়েকে চাঁদের কথা শোনাতেন। চাঁদ তার জন্য চিরকালীন, আর বাবা সবসময় বলতেন, "মারিয়া, স্বপ্ন দেখো, তুমি আমার জন্য চাঁদের মতো হতে পারো।"
মারিয়া তার বাবার সামনে প্রতিশ্রুতি দেয়, “আমি সবসময় তোমার কাছে চাঁদের মতো থাকতে চেষ্টা করবো।” সেলিম তার মেয়েকে কঠোর পরিশ্রমের গুরুত্ব শেখাতে চান, যাতে সে ভবিষ্যতে নিজের পায়ে দাঁড়াতে পারে। একদিন কোভিডের কারণে সবকিছু বন্ধ হয়ে যায়। সেলিমের চাষে সমস্যা হতে শুরু করে। বাজারে শস্য বিক্রি করতে গিয়ে বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হন। মারিয়া জানতো, তাদের অর্থনৈতিক অবস্থা আগে থেকেই খারাপ। কিন্তু বাবার জন্য কোনো ক্ষতি হতে দেবে না সে।
মারিয়া কষ্ট করে কিছু টাকা জোগাড় করার জন্য চিন্তা করতে শুরু করে। সে জানত, যা কিছু করতে হয়, বাবা তা জানতে পারবেন। মারিয়া স্কুলের বন্ধুদের সঙ্গে আলোচনা করে, তারা সকলে একটি ছোট্ট প্রকল্প গ্রহণ করে। গ্রামের কৃষকদের প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র সরবরাহ করার জন্য তারা একটি উদ্যোগ নেয়। তারা নিজে থেকেই কিছু কৌশল তৈরি করে, সেলিমের সাহায্যে তাদের বাগানও করে। তাদের সহযোগিতায় গ্রামে জীবনযাত্রা কিছুটা সহজ হয়।
সেলিম যেমন কঠোর পরিশ্রমী, তেমনি মারিয়াও তার বাবার আদর্শ অনুসরণ করে। একদিন মারিয়া বাবাকে বললে, "বাবা, আমরা আমাদের গ্রামে একটা মেলা করতে পারি। সেখানে কৃষকদের সবজি, ফল এবং গ্রামীণ হস্তশিল্পের পণ্য প্রদর্শন করতে পারবো।" সেলিম প্রথমে কিছুটা দ্বিধা অনুভব করেন, কিন্তু পরে জানান, "দেখো মেয়েকে, আমি তোমার প্রচেষ্টার সঙ্গে আছি। আমরা একসঙ্গে এটা করতে পারি।"
মেলা আয়োজনের জন্য গ্রামে অনেক কাজ করতে হয়েছে। মারিয়া তার বন্ধুদের সঙ্গে মিলে প্রচার করতে শুরু করে। তারা পোস্টার তৈরি করে এবং গ্রামে নোটিস দেয়। সেলিমও তার শান্ত প্রকৃতিতে প্রতিটি কাজকে সঠিকভাবে করার চেষ্টা করেন। অবশেষে দিনটি আসে। গ্রামবাসী মেলায় এসেছিলেন। অসাধারণ সবজি, ফল, এবং হস্তশিল্প দেখতে পাওয়ার জন্য কানায়-কানায় ভরে যায়। সেদিন সেলিম তার মেয়েকে দেখে গর্বিত হয়।
মেলায় টাকার পরিমাণে আয় তাদের সমস্ত অর্থনৈতিক সংকট কিছুটা উপশম করে। তারা টাকা দিয়ে নতুন শস্য ও বীজ কিনতে পারে। মারিয়া বুঝতে পারে, বাবা তার কঠোর পরিশ্রম কিভাবে বিশাল ফল নিয়ে এসেছে। গ্রামে কয়েকজন মহিলা তাদের হাতে তৈরি পণ্য নিয়ে আসে এবং তারা অল্প মূল্যে বিক্রি করতে শুরু করে। এই সময়টি মারিয়ার কাছে একটি নতুন প্রেরণা হয়ে দাঁড়ায়।
মেলা শেষে সেলিম মারিয়াকে আলিঙ্গন করে বলে, "তুমি যদি চাঁদ হতে চাও, তবে মনে রেখো, চাঁদের আলো খাঁটি হতে হয়। সত্যি বলতে, তুমি দারুণ কাজ করেছ।" মারিয়ার চোখে পানি চলে আসে। সে বাবার প্রতি অভিব্যক্তি বুঝতে পারে। বাবার সমর্থন ছাড়া
বোনের বন্ধনের একটি প্রিয়ো গল্প
**গল্প: বোনের বন্ধন**
নদীর তীরে বাঁশের একটি ছোট কুঁড়ে, যেখানে একসময় আমার বাবা-মা বসবাস করতেন। এখন সেখানে আমি এবং আমার বোন সোমা নিজেদের মতো করে জীবন কাটাচ্ছি। সোমা আমার থেকে দুই বছর ছোট, কিন্তু তার বয়সের তুলনায় সে অনেক বেশি বুদ্ধিমান ও সাহসী। আমাদের আনেক ছোটবেলা থেকেই বাবা-মা আমাদের স্বাধীনতা দিতে পছন্দ করতেন। তারা মনে করতেন, প্রকৃতির সঙ্গে সংযুক্ত থাকার মধ্যে রয়েছে জীবনের আসল সৌন্দর্য।
একদিন, দুপুরে যখন সূর্য আকাশের মাঝে ছিল, আমরা নদীর ধ shore নদীর ধারে বসেছিলাম। সোমা suddenly বলল, “ভাই, কি মনে হয়, আমরা যদি জঙ্গলে যাই, সেখানে একটা অ্যাডভেঞ্চার শুরু করি!” আমি একটু ভেবে দেখলাম। মনে হলো, এই ছোটো শহরের ভেতর থেকে বেরিয়ে প্রকৃতির মাঝে হারিয়ে যাওয়া আমাদের জন্য খুব ভালো হবে। তাই আমি বললাম, “চল, যাই!”
সোমার চোখে আনন্দের ঝিলিক দেখা দিল। আমরা বাড়ি থেকে কিছু খাদ্য ও জল নিয়ে জঙ্গলের উদ্দেশে বের হলাম। পথে যেতে যেতে সোমা একাধিক গল্প বলল। তার গল্প শুনতে শুনতে কখন যে আমাদের কাঁধে ঝুলে থাকা ব্যাগের ওজন অনুভব করতে পারলাম না।
জঙ্গল আমাদের জন্য নতুন এক জগতের মতো। চারপাশে নানা রকমের গাছপালা, পাখির কিচির-মিচির। সোমা আমার হাত ধরে জঙ্গলের ভেতরে এগিয়ে যেতে থাকে। আমি কখনো কখনো পিছনে ফিরে তাকাই, যেন পিছনে থেকে কোনো দুষ্টু প্রাণী আমাদের ধাওয়া করছে। সোমা তখন হাসছে। “ভাই, এত ভয়ের কি আছে? এটা আমাদের অ্যাডভেঞ্চার!”
যাওয়ার পথে আমরা পরিচিত কিছু পাখির তরঙ্গ ফেলতে দেখি। সোমা পাখির মতো উড়ে উড়ে তাদের অঙ্গভঙ্গি সত্যি কৌতূহলোদ্দীপক। আমরা চারপাশের আবহাওয়ার সত্ত্বেও প্রচুর আকর্ষণ অনুভব করছি। হঠাৎ, আমাদের সামনে একটা বড় গাছের গুঁড়ির ওপর কিছু পশুর পায়ের ছাপ দেখা গেল। সোমা বলল, “ভাই, তোমার কি মনে হয়, এই পায়ের ছাপগুলো কেমন?”
আমি চিন্তা করলাম। তারা কি বন্য প্রান্তর থেকে এসেছে? আমরা ফেলে দেয়া ছাপ অনুসরণ করতে লাগলাম। অদূরে আমাদের সামনে একটি ছোট জলज़र ঘর দেখা গেল। সোমা আমার দিকে তাকিয়ে বলল, “আসুন, সেখানে যাই!”
যখন আমরা জলতলের কাছে পৌঁছলাম, তখন সেখানে একটি মিষ্টি চড়ুই পাখি বসে ছিল। সোমা তাকে দেখে আরও উচ্ছ্বল হয়ে গেল। সে বিদ্যুৎবেগে বোলল, “ভাই, দেখি পাখিটা কেমন ভয় পায়!” এবং সে ধীরে ধীরে কাছে এগিয়ে গেল। পাখিটি প্রথমে ভয় পেয়ে উড়ে গেল, কিন্তু সোমার মুখের হাসি দেখে আবার ফিরে এল।
এটি দেখে আমি সিদ্ধান্ত নিলাম, প্রকৃতির সঙ্গে এই বন্ধন তৈরির জন্য আবেগকে প্রকৃতির প্রতি উৎসর্গ করতে পারি। সোমা ও আমি সেই জলতলে তিন চার ঘণ্টা বসেছিলাম। অনুভব করলাম, জীবনের প্রতিটি ক্ষণ আমরা এই মুহূর্তটি ধরতে পারি।
দুপুরের খাবারের জন্য আমাদের কিছু শুকনো খাবার ছিল। বসে দেখলাম, সোমা চাইলে আরও বেশি কিছু ছবি তোলার জন্য। বছরের পর বছর ধীরে ধীরে গড়ে ওঠা আমাদের এই সম্পর্কের দৃঢ়তা উঠতে লাগল। সোমা যেভাবে প্রকৃতির মধ্যে আচ্ছন্ন হয়ে পড়ল, তা আমাকে ভীষণভাবে আচ্ছন্ন করে রেখেছিল।
সান্ধ্যকালে, যখন সূর্য পশ্চিমে অস্ত যাচ্ছিল, তখন আমরা আবিষ্কার করলাম যে, সময়ের সঙ্গে আমাদের মধ্যে আসলে এক অদ্ভুত সৌন্দর্যের সৃষ্টি হচ্ছে। আমি বুঝতে পারলাম, জীবনকে এইভাবে উপভোগ করা সত্যি খুব সৌন্দর্যময়। সোমা আমাকে স্পর্শ করল এবং ভারী গলায় বলল, “ভাই, আজকের দিনে আমি যা দেখলাম, আর যা অনুভব করলাম, তার জন্য আমি চিরকাল ধন্যবাদের প্রাপক হব। তুমি সবসময় আমার সঙ্গী থেকো!”
আমি মনে মনে অনুভব করলাম যে, এই মুহূর্তগুলো আমাদের মধ্যে বন্ধনের নতুন ডালপালা সৃষ্টি করছে। আমরা এভাব
A JOURNEY OF LOVE
Title: A Journey of Love Once in a vibrant town named Willowbrook, there lived a young woman named Elara. She was a passionate artist who s...
-
**গল্প: বোনের বন্ধন** নদীর তীরে বাঁশের একটি ছোট কুঁড়ে, যেখানে একসময় আমার বাবা-মা বসবাস করতেন। এখন সেখানে আমি এবং আমার বোন সোমা নিজেদের মতো...
-
**বাবার সম্যান** বাংলাদেশের একটি ছোট গ্রামে বাস করত বাবা সেলিম ও তার ছোট মেয়ে মারিয়া। বাবার সঙ্গে মারিয়ার সম্পর্কটা ছিল একেবারে বিশেষ। মা ম...