বাবার চাঁদের মতো মেয়ে" অথবা "বাবার সমর্থন

 **বাবার সম্যান**


বাংলাদেশের একটি ছোট গ্রামে বাস করত বাবা সেলিম ও তার ছোট মেয়ে মারিয়া। বাবার সঙ্গে মারিয়ার সম্পর্কটা ছিল একেবারে বিশেষ। মা মারা যাওয়ার পর মারিয়া বাবার পৃথিবী হয়ে উঠেছিল। সেলিমের বয়স যখন মাত্র চল্লিশ, তখন তিনি একাই সবকিছু সামাল দিতে শুরু করেছিলেন। গ্রামে সবার কাছে তিনি ছিলেন একজন নিষ্ঠাবান, hardworking কৃষক।


মারিয়া ছোট্ট ছিল, কিন্তু তার ইনসাইট ছিল গভীর। সে জানত বাবার জীবনে নানা সংকট lurks করছিল। সেলিম শান্ত এবং ধীর, কিন্তু তার চোখের গভীরে ছিল এক সামান্য উদ্বেগ। প্রতিদিন সকালে তিনি মাঠে বের হতেন, आलু, পটেটো, এবং বিভিন্ন শাকসবজি চাষ করতেন। যেটা হাসপাতালে গিয়েছিলেন মা, তার অসুস্থতা ভেঙে দিয়েছিল পরিবারটাকে। সেই থেকে বাবার জন্য সমস্ত দায়িত্ব এসে পড়ে মারিয়ার ওপর।


দিনে দিনে মারিয়া বড় হতে থাকল। সে স্কুলে যেতে শুরু করে এবং নিজের পড়াশোনায় মনোযোগ দেয়। সেলিম সবসময় নিজের কাজের পর মারিয়াকে পড়তে সাহায্য করতেন। সারাদিনের পরিশ্রমের পরও রাতের আকাশে দেখা গেলেই সেলিম তার মেয়েকে চাঁদের কথা শোনাতেন। চাঁদ তার জন্য চিরকালীন, আর বাবা সবসময় বলতেন, "মারিয়া, স্বপ্ন দেখো, তুমি আমার জন্য চাঁদের মতো হতে পারো।"


মারিয়া তার বাবার সামনে প্রতিশ্রুতি দেয়, “আমি সবসময় তোমার কাছে চাঁদের মতো থাকতে চেষ্টা করবো।” সেলিম তার মেয়েকে কঠোর পরিশ্রমের গুরুত্ব শেখাতে চান, যাতে সে ভবিষ্যতে নিজের পায়ে দাঁড়াতে পারে। একদিন কোভিডের কারণে সবকিছু বন্ধ হয়ে যায়। সেলিমের চাষে সমস্যা হতে শুরু করে। বাজারে শস্য বিক্রি করতে গিয়ে বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হন। মারিয়া জানতো, তাদের অর্থনৈতিক অবস্থা আগে থেকেই খারাপ। কিন্তু বাবার জন্য কোনো ক্ষতি হতে দেবে না সে।


মারিয়া কষ্ট করে কিছু টাকা জোগাড় করার জন্য চিন্তা করতে শুরু করে। সে জানত, যা কিছু করতে হয়, বাবা তা জানতে পারবেন। মারিয়া স্কুলের বন্ধুদের সঙ্গে আলোচনা করে, তারা সকলে একটি ছোট্ট প্রকল্প গ্রহণ করে। গ্রামের কৃষকদের প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র সরবরাহ করার জন্য তারা একটি উদ্যোগ নেয়। তারা নিজে থেকেই কিছু কৌশল তৈরি করে, সেলিমের সাহায্যে তাদের বাগানও করে। তাদের সহযোগিতায় গ্রামে জীবনযাত্রা কিছুটা সহজ হয়।


সেলিম যেমন কঠোর পরিশ্রমী, তেমনি মারিয়াও তার বাবার আদর্শ অনুসরণ করে। একদিন মারিয়া বাবাকে বললে, "বাবা, আমরা আমাদের গ্রামে একটা মেলা করতে পারি। সেখানে কৃষকদের সবজি, ফল এবং গ্রামীণ হস্তশিল্পের পণ্য প্রদর্শন করতে পারবো।" সেলিম প্রথমে কিছুটা দ্বিধা অনুভব করেন, কিন্তু পরে জানান, "দেখো মেয়েকে, আমি তোমার প্রচেষ্টার সঙ্গে আছি। আমরা একসঙ্গে এটা করতে পারি।"


মেলা আয়োজনের জন্য গ্রামে অনেক কাজ করতে হয়েছে। মারিয়া তার বন্ধুদের সঙ্গে মিলে প্রচার করতে শুরু করে। তারা পোস্টার তৈরি করে এবং গ্রামে নোটিস দেয়। সেলিমও তার শান্ত প্রকৃতিতে প্রতিটি কাজকে সঠিকভাবে করার চেষ্টা করেন। অবশেষে দিনটি আসে। গ্রামবাসী মেলায় এসেছিলেন। অসাধারণ সবজি, ফল, এবং হস্তশিল্প দেখতে পাওয়ার জন্য কানায়-কানায় ভরে যায়। সেদিন সেলিম তার মেয়েকে দেখে গর্বিত হয়।


মেলায় টাকার পরিমাণে আয় তাদের সমস্ত অর্থনৈতিক সংকট কিছুটা উপশম করে। তারা টাকা দিয়ে নতুন শস্য ও বীজ কিনতে পারে। মারিয়া বুঝতে পারে, বাবা তার কঠোর পরিশ্রম কিভাবে বিশাল ফল নিয়ে এসেছে। গ্রামে কয়েকজন মহিলা তাদের হাতে তৈরি পণ্য নিয়ে আসে এবং তারা অল্প মূল্যে বিক্রি করতে শুরু করে। এই সময়টি মারিয়ার কাছে একটি নতুন প্রেরণা হয়ে দাঁড়ায়।


মেলা শেষে সেলিম মারিয়াকে আলিঙ্গন করে বলে, "তুমি যদি চাঁদ হতে চাও, তবে মনে রেখো, চাঁদের আলো খাঁটি হতে হয়। সত্যি বলতে, তুমি দারুণ কাজ করেছ।" মারিয়ার চোখে পানি চলে আসে। সে বাবার প্রতি অভিব্যক্তি বুঝতে পারে। বাবার সমর্থন ছাড়া

No comments:

Post a Comment

A JOURNEY OF LOVE

Title: A Journey of Love Once in a vibrant town named Willowbrook, there lived a young woman named Elara. She was a passionate artist who s...