### প্রেমের গল্প: একটি নতুন সূর্যের আলো
ঋতু পাল্টানোর সময়। বাঙালিরা যখন বর্ষার প্রথম বৃষ্টি উপভোগ করতে মাঠে পা রেখেছে, ঠিক তখনই কলকাতার এক প্রবীণ কলেজের ছাত্র অনুপম তার প্রিয় রেস্টুরেন্টের দিকে এগোচ্ছিল। মনটা একটু ভারী, কারণ পরীক্ষার ফলাফল ঘোষণা হতে চলেছে। তবে, অন্যদিকে, তার জীবনে একটি নতুন ঘটনা ঘটতে চলেছে।
এসব চিন্তায় ডুব দেওয়ার সময় হঠাৎই তার চোখের সামনে একজন তরুণী উদয় হলো। মেয়েটি ছিল সাদা কৃত্রিম হাতি কাঁধে নিয়ে। তার টাকায় একটি নীল শাড়ি এবং গলায় একটি সাদার ফুল ঝুলছে। অনুপমের মনে হল, যেন এক মৃদু আলোয়ের রেখা সারা পৃথিবীকে আলোকিত করে রাখল।
"এই মেয়েটা কীভাবে এখানে এল?" মনে মনে ভাবলো অনুপম। তার পায়ের দিকে চোখ রেখে মেয়েটা কাছে আসতে লাগল। কিছুক্ষণ পরে তার সাথে মোলাকাত হলো।
"আপনি কি আমার আগে এখানে আসেননি?" মেয়েটির প্রশ্নটি ছিল সরল, কিন্তু কেমন যেন গাঢ়। অনুপম নিজের বিভ্রান্তি গোপন রেখে বলল, "হ্যাঁ, আমি মাঝে মাঝে আসি। আপনার নাম কি?"
“মেঘনা,” সে হাসিমুখে উত্তর দিল।
মেঘনা আর অনুপমের মধ্যে আলাপ শুরু হলো। তারা একসঙ্গে বসে এক কাপ চা পান করতে লাগল। মেঘনা কলেজের গায়কী প্রতিযোগিতার প্রস্তুতি নিচ্ছিল, আর অনুপম ছিল সাহিত্যবিষয়ে আগ্রহী। দুজনেই একে অপরের প্রতি আকৃষ্ট হতে শুরু করল।
ব্যক্তিগত বিষয়গুলো শেয়ার করতে এক সপ্তাহ কেটে গেল। শহর জুড়ে তাদের হাঁটাহাঁটি, সিনেমা দেখা বা রেস্টুরেন্টে খাবার খাওয়া—এগুলোকে ঘিরে রঙিন স্মৃতি গড়ে তুলতে লাগল। তাঁদের বন্ধুত্ব ধীরে ধীরে প্রেমে রূপ নিয়েছে। অনুপম বুঝতে পারলো, মেঘনা তার জন্য স্পেশাল। তবে, মেঘনার জীবনেও কতটুকু চ্যালেঞ্জ।
দিনগুলো এমন কিছু পাল্টাল যেভাবে তাদের সম্পর্ক গাঢ় হয়েছিল, ঠিক তেমনই একদিন মেঘনা বলল, “অনুপম, আমি তোমাকে কিছু বলতে চাই।”
অনুপম একটু আশঙ্কিত হয়ে রাজি হলো, “বলো, আমি শুনছি।”
“আমি কলেজের পরে ভর্তি হতে যাচ্ছি। আমার বাবা-মা বিদেশে চলে যাচ্ছেন।” মেঘনার চোখে একটি আঙুলের জলের ছাপ ফুটে উঠিয়ে অনুপমকে দেখে, “আমি তোমাকে কোনও অন্তরায় তৈরি করতে চাই না। তুমি আমার জন্য গুরুত্বপূর্ণ, কিন্তু…”
অনুপমের হৃদয়ে যেন শূন্যতা তৈরী হলো, “তুমি কি আমাকে ভুলে যাবে?”
মেঘনা কিছুক্ষণ চিন্তা করল, তারপর বলল, “এটি আমার জন্যও খুব কঠিন, কিন্তু এটাই বাস্তবতা।”
### অধ্যায় ২: দূরত্ব এবং স্মৃতি
মেঘনার চলে যাবার পর অনুপমের জীবন যেন একদম অন্ধকার হয়ে গেল। কলেজে তার আগের উচ্ছ্বাস উধাও। প্রতিদিনের সহপাঠীরা কথা বললেও তার মনে মেঘনার স্মৃতিই প্রবাহিত হতে থাকলো। সে তার লেখা কবিতায় মেঘনার কথা লিখতে শুরু করল—কখনও হাসি, কখনও কান্না।
বারো মাস পরে, একদিন মেঘনা তাকে একবার ফোন করলো। অনুপম তখন নতুন কবিতা লেখার প্রস্তুতি নিচ্ছিল। ফোন শোনার পর তার হৃদয়ে আনন্দ হয়েছিল।
“কেমন আছো?” মেঘনা জিজ্ঞেস করল।
“তুমি কি জানো, আমি তোমাকে কতদিন ধরে মনে করছি?” অনুপম বলল, স্বাভাবিকভাবে।
“এটা আমার জন্যও সত্য,” মেঘনা খোলামেলা উত্তর দিল। “আমি তোমাকে ভুলতে পারিনি।”
মেঘনার কথা অনুপমকে আবার জীবন দিতে সূচনা করে। তিনি নতুন করে কবিতা লেখা শুরু করলেন, আর পাশাপাশি মেঘনার প্রতিটি কথাকে মনে রাখতে লাগলেন। তাদের মাঝে দূরত্ব ছিল কিন্তু ভালোবাসার কোনোদিকেই যেতে বাধা ছিল না।
### অধ্যায় ৩: পুনর্মিলন
একদিন অনুপমের কাছে একটি ফোন আসল। এটি ছিল মেঘনার
No comments:
Post a Comment