"হারিয়ে যাওয়া স্বপ্ন"।

 শিরোনাম: হারিয়ে যাওয়া স্বপ্ন


প্রথম পর্ব: নদীর তীরে এক ছোটো গ্রাম


বাঙালির প্রিয় নদী গঙ্গা বহু বছর ধরে প্রবাহিত হচ্ছে। তার তীরে গড়ে উঠেছে একটি ছোটো গ্রাম, যার নাম শ্রীমঙ্গল। এই গ্রামটি তার বিস্তৃত নদীর সৌন্দর্যের জন্য পরিচিত। গ্রামের ভেতরে কচি কচি লতা-পাতার মতো ছোট ছোট বাড়ি। সব বাড়ির গায়ে টিনের চাল, আর মাথার ওপর গাছের ছাঁয়া। এ গ্রামে বাস করে এনা, একটি মিষ্টি মুখের দোহিত্রীর। এনার বয়স বছর তেরো।


এনা ছিল সব সময় হাস্যময়ী। তার বাবা নিতন বাবু গাছপালা নিয়ে কাজ করতেন, আর মা রুনা দেবী গৃহিণী। তাদের জীবনযাপন খুবই সাদাসিধে আর সুখে। এনার সবচেয়ে প্রিয় বন্ধু ছিল রাহুল, যে ছিল তার পাশের বাড়ির ছেলে। উভয়েই স্কুলের পাশাপাশি সারা দিন একসাথে দৌড়ানো, খেলাধুলা করত। তারা নদীর তীরে বসে গল্প করত, তারা স্বপ্ন দেখত একদিন বড় হয়ে কি হবে।


দ্বিতীয় পর্ব: একটি অদ্ভুত ঘটনা


একদিন সকালে, এনা আর রাহুল নদীর তীরে খেলতে গেল। খেলতে খেলতে হঠাৎ তাদের চোখে পড়ল একটা পুরানো নৌকা। নৌকাটির রং ফিকে হয়ে গেছে, এবং এর গায়ে আগের সময়ের অনেক দাগ ছিল। এনা বলল, "রাহুল, আসো নৌকাটির কাছে যাই!" উভয়েই চলে গেল নৌকাটির কাছে। তারা নৌকাটির ভেতর প্রবেশ করলে হঠাৎ করে একটি পুরানো বই দেখতে পেল। বইয়ের পাতাগুলো ছিল অনেক মলিন, কিন্তু এখানে একটি শ্রীচরণ ছিল।


এনা বইটি খুলে পড়তে শুরু করল। বইটি ছিল পাহাড়ের ওপরে একটি স্বর্ণমন্দিরের গল্প। মন্দিরে বলা হয়েছিল যে ওই স্বর্ণমন্দিরের মধ্যে রয়েছে মহাকালের সোনালী খোঁজ, যা যদি কেউ খুঁজে পায়, তাহলে তার জীবনের সকল স্বপ্ন পূর্ণ হবে।


এনা ও রাহুল সেই স্বর্ণমন্দিরের খোঁজে বের হবে বলে ঠিক করে। তারা দুজনেই জানে যে এটির জন্য অনেক বড় সাহস এবং পরিশ্রম প্রয়োজন।


তৃতীয় পর্ব: স্বর্ণমন্দিরের অভিযানে


এনা ও রাহুল ঠিক করে নিল, আগামীকাল ভোরবেলা তারা অভিযানে বের হবে। সকালবেলা প্রভাতে, তারা একটি ব্যাগে প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম, কিছু খাবার এবং বইটি নিয়ে বের হলো। তারা নদী পার হয়ে সুন্দর একটি বনভূমিতে ঢুকল। সেই বনটি ছিল অন্ধকার আর রহস্যময়।


গাছগুলোর মধ্যে দিয়ে চলতে চলতে তারা এক অদ্ভুত শব্দ শুনতে পেল। এনা ভয় পেয়ে বলল, "রাহুল, কি আওয়াজ হলো?" রাহুল বলল, "হয়তো পশুর আওয়াজ হবে, ভয় পেলো না!"


অবশেষে তারা একটি উঁচু পাহাড়ের চূড়ায় পৌঁছাল। সেখানে একটি সাদা পাথরের মন্দিরের ধ্বংসাবশেষ দেখতে পেল। তারা ভাবল, এটি সেই স্বর্ণমন্দির। তারা খুব আনন্দিত হলো। কিন্তু সেখানে পৌঁছাতে গেলে তাদের সামনের রাস্তার দেয়ালে খোদাই করা কয়েকটি প্রাচীন রূপকথার ছবি দেখতে পেল। এগুলো ছিল বিভিন্ন পরীক্ষা আর বাধার পরিচায়ক।


চতুর্থ পর্ব: পরীক্ষার মুখোমুখি


এনাও রাহুলের সামনে ছিল তিনটি পরীক্ষা—


প্রথম পরীক্ষা ছিল সাহসের। তাদের সামনে দাঁড়িয়ে ছিল একটি বিশাল সামুদ্রিক দৈত্য। দৈত্যটি আদেশ দিল, "তোমাকে যদি আমার কাছে সত্য বলো, তাহলে আমি তোমাদের কোনো ক্ষতি করবো না।" এনা প্রাণ খুলে বলল, "আমরা শুধুমাত্র স্বর্ণমন্দিরের সন্ধানে এসেছি।" দৈত্য বিশ্বাস করল এবং তাদের পার করে দিল।


দ্বিতীয় পরীক্ষা ছিল বিচক্ষণতার। এখানে ছোট ছোট ধাঁধা ছিল। রাহুল বেশ অসুবিধায় পড়ে গেল, কিন্তু এনা তার দ্রুত চিন্তাশক্তির মাধ্যমে ধাঁধা সমাধান করে। তৃতীয় ও শেষ পরীক্ষাটি ছিল বন্ধুত্বের। মন্দিরের অন্দরে গিয়ে তারা দেখতে পেল...See More

No comments:

Post a Comment

A JOURNEY OF LOVE

Title: A Journey of Love Once in a vibrant town named Willowbrook, there lived a young woman named Elara. She was a passionate artist who s...