বড় ভাই এর জীবনের গল্প

 **বড় ভাইয়ের কষ্ট: একটি অনুভূতির গল্প**


আমার বড় ভাই, রাহুল, জীবনের এক বিশেষ অধ্যায়ের সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছেন। তিনি আমার জীবনে শুধু একজন ভাই নন, বরং একজন গाइड, শিক্ষক এবং বন্ধু। তবে তার কষ্টের যে গল্প, সেটি খুবই হৃদয়বিদারক।


রাহুল ছোটবেলা থেকেই অত্যন্ত মেধাবী ছিল। তার পড়াশোনার প্রতি আগ্রহ এবং তাতে সাফল্যই শুধু নয়, বরং বেড়ে উঠার পথে যে প্রতিকূলতা আসতো, তা মোকাবেলা করার উন্মাদনা তাকে সবসময় উজ্জীবিত রাখতো। তিনি একদিকে যেমন পড়াশোনায় দারুণ সফল, অন্যদিকে তার আচরণ ও মানবিক গুণাবলীও প্রশংসনীয়। তবে, তার এই সাফল্যের পিছনে একেবারেই রাহুলের সহজ জীবন ছিল না।


 প্রথম বড় অভিজ্ঞতা আসে যখন তার বাবার ব্যবসায় হঠাৎ এক বড়সড় ক্ষতি হলে পরিবারটি আর্থিক সংকটে পড়ে। এই সংকটের সময়ে, রাহুলের ওপর যেন এক ভারসাম্যহীন দায়িত্ব এসে পড়ে। পরিবারের প্রতিটি সিদ্ধান্তে তার ভূমিকা বেড়ে যায়। তবে, তার দায়িত্বের বোঝা তার বয়সের তুলনায় অনেক বেশি ছিল। বয়স ছেলেটির তখন মাত্র ১৬।


তিনি ঠিকভাবে পড়াশোনা করতে পারেননি, কারণ তাকে বাড়ির কাজকর্ম এবং বাকি সদস্যদের সাহায্যে অনেক সময় দিতে হত। রাত নামার পরেও ঘরের কাজ শেষ করে কলেজের পড়াশোনায় মনোনিবেশ করতে হত। তাকে রাতে ১২টা-১টা পর্যন্ত পড়তে হতে। কখনও কখনও তার চোখে ঘুমের ছাপ দেখা যেত, কিন্তু সে কখনো হাল ছাড়েনি। তার মনের গভীরে এক অদম্য ইচ্ছা, পরিবারের ভালো থাকার জন্য তিনি নিরলস পরিশ্রম করতে থাকতেন।


কিন্তু সৃষ্টিগত দুঃখের দেওয়া পরীক্ষা এভাবে শেষ হয়নি। যখন রাহুল কলেজে ভর্তি হয়, তখন তার ওপর চাপ বেড়ে যায়। কলেজের প্রকৃতির মধ্যে দেওয়া বন্ধুদের সঙ্গে চলমান প্রতিযোগিতা, পরীক্ষার ফলাফল, প্রোজেক্ট এবং অন্যান্য কার্যকলাপ সবই তাকে হিসাবীর জালে টানে। অন্যান্য শিক্ষার্থীরা যখন উপভোগ করে সময় কাটাচ্ছে, সে তখন বইয়ের পৃষ্ঠা উল্টানোর রাস্তায়।


বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তার মানসিক চাপও বেড়ে যায়। সে জানতো, তার পরিবার তাকে চাকরি করার জন্য একটা ভালো প্রতিষ্ঠানে যেতে চায়। যেটা সে জানার পর থেকেই তার ছোটবেলা থেকে কাজ করার ইচ্ছা রাখা তা পূরণ করার জন্য নিরলস প্রচেষ্টা চালায়। এভাবে চলতে চলতে দিন পেরিয়ে যায়, কিন্তু রাহুলের কষ্ট কোথাও থামেনা।


একদিন, তার কলেজের একটা বড় পরীক্ষা ছিল। সবকিছু ভালোভাবে প্রস্তুতি নেবার পরও অস্থিরতা তাকে ঝুঁকির দিকে ঠেলে দেয়। পরীক্ষার দিন সকালের দিকে তীব্র মাথাব্যথায় ভোগার কারণে পরীক্ষা দিতে যেতে পারেনি। এই ঘটনাটি তার ওপর ব্যাপক প্রভাব ফেলে, কারণ বন্ধুদের থেকে শুনে তার মনে হত, সে অন্তত একটা সুযোগ নিয়েছে যা জীবনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।


সম্পর্কিত বিষয়ের অভাবে কর্মস্থলে প্রথমদিনে চাকরি পাননি। জীবনের এই কঠিন সময়গুলোতে রাহুলের পাশে আমি ছিলাম, কিন্তু মাঝে মাঝে বিষয়গুলো আমার জন্যও অনেক যন্ত্রণাদায়ক হয়ে যাচ্ছিল। আমি জানতাম যে তার প্রচুর কষ্ট হচ্ছে তবে বলার মতো কোনো শব্দ কখনোই ছিল না।


দিনের পর দিন কাটতে থাকে। রাহুল বিভিন্ন কাজের জন্য অস্থির হয়ে যায়। চাকরি পাওয়ার জন্য লাখ লাখ আবেদন জমা দেয়। কিন্তু জবাব আসতে থাকে, "এখনও আপনি নির্বাচনে অযোগ্য।" এই বাক্যধারা মাঝে মাঝে তার দীর্ঘ অপেক্ষার ইঙ্গিত দেয়, যার ফলে হতাশা এবং বিষণ্ণতা যেন আরও বাড়তে থাকে।


বড় ভাইয়ের কষ্ট আমাকে খুব গভীরভাবে ভাবায়। জীবনের এই কঠিন অধ্যায়ের মাঝে, আমি চিন্তা করলাম, কিভাবে আমি তার পাশে দাঁড়াতে পারি। একদিন, আমি রাহুলের কাছে গিয়ে বললাম, "ভাই, তুমি যদি প্রয়োজন মনে করো, আমি তোমার জন্য সাহায্য করতে প্রস্তুত। তোমার কষ্টেরা আমার কষ্টও। আমি তোমার পাশে সবসময় আছি।"


রাহুল সে সময়ে পার্থিব অর্জনের সমস্ত ধ্যান-জ্ঞানের মাঝেও নিজের আত্মবিশ্বাস হারাতে বস

No comments:

Post a Comment

A JOURNEY OF LOVE

Title: A Journey of Love Once in a vibrant town named Willowbrook, there lived a young woman named Elara. She was a passionate artist who s...