কাহিনী: আল-আমিনের শিক্ষা
একবারের কথা, সৌরভ নামে একটি গ্রামে এক ছোট্ট ছেলে ছিল, যার নাম আল-আমিন। আল-আমিন ছিল ১২ বছর বয়সী, অত্যন্ত শ্রদ্ধাবনত এবং সৎ। তার বাবা-মা তাকে ইসলামিক শিক্ষায় প্রতিদিন নিয়মিত পাঠ দিতেন এবং তাকে নৈতিক মূল্যবোধের উপর ভিত্তি করে শিক্ষা দিতে চেষ্টা করতেন। আল-আমিন গরিব পরিবারের সন্তান ছিল, কিন্তু তার মন ছিল ধনী। সে সারাক্ষণ নতুন কিছু শেখার জন্য আগ্রহী ছিল।
111
একদিন, অগ্রিম পাঠের পর, আল-আমিন তার বাবার কাছে গেল এবং বলল, "বাবা, আমি একটি নতুন ইতিহাসের গল্প পড়তে চাই।" তার বাবা তাকে বললেন, "আমার সন্তান, ইসলাম ইতিহাসের গল্পগুলো খুব শিক্ষণীয়। আমি তোমাকে একটি গল্প বলি।"
111
তার বাবা শুরু করলেন, "আল্লাহ তায়ালা আমাদের জন্য একজন উম্মাতের নেতা পাঠিয়েছিলেন, যিনি আমাদেরকে সৎপথে নিয়ে যাওয়ার জন্য দৃষ্টান্ত তৈরি করেছেন। তাঁর নাম ছিল আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ (সঃ)। তিনি যখন ৪০ বছর বয়সে নবুয়াত পাত্র হন, তখন তিনি মানুষের জন্য আল্লাহর বার্তা নিয়ে এসেছিলেন। কিন্তু সেই বার্তার কারণে অনেকেই তাঁকে অস্বীকার করত।"
111
আল-আমিন কৌতূহল নিয়ে জিজ্ঞেস করল, "বাবা, তাঁকে কেউ কেন অস্বীকার করেছিল?"
111
বাবা বললেন, "কারণ তখনকার সমাজের মানুষ বিভিন্ন মূর্তিপূজা এবং খারাপ আচরণে লিপ্ত ছিল। তারা সত্যি এবং সৎতার ডাককে গ্রহণ করতে পারেনি। নবীজি তাঁদেরকে সত্যের পথে ফিরিয়ে আনতে চেষ্টা করলেন। কিন্তু তিনি অনেক কষ্টের সম্মুখীন হতেন।"
111
এটি শুনে আল-আমিন বলল, "বাবা, নবীজি কি কখনো হাল ছাড়েননি?"
111
তার বাবা উত্তর দিলেন, "بالکل, একদমই।’ নবীজি সবসময় আল্লাহর উপর ভরসা করেছেন এবং তিনি জানতেন যে ইসলামের বার্তা একদিন আলোর মতো ছড়িয়ে পড়বে। যেমনটা আল্লাহর পবিত্র কোরআনে বলা হয়েছে: ‘ইননা নাহনু নাযযাল্নাযিকির, ওয় ইন্না লাহো লাহাফেজুন’।"
111
আল-আমিন খুব মুগ্ধ হয়ে জিজ্ঞেস করল, "বাবা, নবীজির জীবনের সবচেয়ে বড় শিক্ষা কী?"
111
তার বাবা হেসে বলেন, "নবীজির জীবন আমাদের শেখায় যে, ধৈর্য এবং সহানুভূতি আমাদেরকে প্রতিটি বিপত্তির মধ্যে দিয়ে যেতে সাহায্য করে। তিনি আমাদের শেখিয়েছেন যে, অন্যদের প্রতি সদয় হওয়া এবং তাদের সাহায্য করা আমাদের কর্তব্য।"
111
এক রাতে, আল-আমিন ঘুমাতে গেলে তার মনে পড়ল নবীজির কথা। সে সিদ্ধান্ত নিল যে সে তার জীবনে নবীজির বইয়ের আদর্শ অনুসরণ করবে। পরদিন থেকেই সে তার স্কুলে তার সহপাঠীদের সাথে বেশি সদয় হয়ে উঠল। সে তাদের সাথে শেয়ার করছিল, যখন কেউ তাঁর কাছে কিছু চাইতো।
111
কিছুদিন পর, আল-আমিন দেখল তার সহপাঠীরা তাকে স্নেহের দৃষ্টিতে দেখছে। তারা বলল, "আল-আমিন, তুমি তো আমাদের বন্ধু হয়ে গেছ। তুমি সবসময় আমাদের সাহায্য করো।" আল-আমিন তাদেরকে হাসিমুখে বলল, "এতেই তো আমার আনন্দ!"
111
একদিন, আল-আমিনের স্কুলে একটি বড় সমস্যা দেখা দিল। তার এক সহপাঠী, রায়ান, পড়ালেখায় খুব পিছিয়ে পড়েছে। রায়ানের পরিবার খুব দরিদ্র ছিল, তাই তার বাবা তাকে পড়ানোর জন্য সময় দিতে পারতেন না। ফলে রায়ানের হাতে অনেক কাজ থাকে, ফলে সে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছিল।
111
আল-আমিন দৃঢ় প্রতিজ্ঞ হল রায়ানকে সাহায্য করার। সে সাপ্তাহিক ছুটির দিনগুলোতে রায়ানের কাছে গিয়ে তাকে পড়ানোর সিদ্ধান্ত নিল। প্রথমে রায়ান ভয় পান, কিন্তু আল-আমিনের সহানুভূতি দেখে সে একটু কিছুটা নিশ্চিন্ত হল। আল-আমিন ধীরে ধীরে তার সঙ্গীকে শিক্ষার মাধ্যমে সাহায্য করে।
111
কয়েক সপ্তাহ পর, রায়ান পড়াশুনায় আগের থেকে অনেক ভালো করছিল। সে পরীক্ষায় ভালো নম্বরও পেয়ে গেল।...See More<script type="text/javascript">
atOptions = {
'key' : '9f229ca02efb372e42a25a3aa2fad8d7',
'format' : 'iframe',
'height' : 90,
'width' : 728,
'params' : {}
};
</script>
<script type="text/javascript" src="//www.highperformanceformat.com/9f229ca02efb372e42a25a3aa2fad8d7/invoke.js"></script>
No comments:
Post a Comment