অবশ্যই, এখানে একটি গল্প রচনা করছি যেখানে ওসোহায় মা কেন্দ্রীয় চরিত্র:
---
### আশ্রয়
এক অন্ধকার রাত্রির কথা, গ্রামের প্রান্তে অবস্থিত ছোট্ট কুঁড়েঘরটিতে বসে আছেন ওসোহায় মা। একাকী এই বৃদ্ধা অস্থির জীবনের ধারক; দূর থেকে শুধু বাতাসের সোঁ সোঁ শব্দ শোনা যায়। ঘরের কোণে থাকা একটা ছোট মোমবাতির আলোয় তার মুখমণ্ডল অস্পষ্টভাবে দেখা যাচ্ছে। তার চোখে জমে আছে পৃথিবীর সব কষ্টের আঁচড়।
ওসোহায় মা এই গ্রামের সবচেয়ে বয়স্ক মহিলা, গ্রামে তিনি সকলের "মা" হিসেবেই পরিচিত। তার স্বামী মারা যান বহু বছর আগে, সন্তান নেই, নেই কোন আপনজন। কিন্তু গ্রামে কোন অসুখ হলে, কেউ বিপদে পড়লে প্রথম যে নাম মনে আসে তা হলো ওসোহায় মা। তবে বেশ কিছুদিন তিনি নিজেই অসুস্থ ছিলেন, কিন্তু তবুও কারো কাছে কিছু বলতে পারেননি।
আজকের রাতটা একটু অন্যরকম। হঠাৎ করেই বাইরের দরজায় তিনটে টোকা পড়ল। ওসোহায় মা একটু অবাক হয়েই দরজা খুলতে গেলেন। দরজার ওপাশে দাঁড়িয়ে আছে একটা ছোট্ট মেয়ে, বয়স দশ কি বারো বছর হবে। মেয়েটির দুচোখে ভয়, গায়ে ময়লা লেগে আছে, কাঁধে একটি ছোট ব্যাগ। ওসোহায় মা মেয়েটিকে চিনতে পারলেন না।
"কে তুমি, মা?" তাদের একাকী এই গ্রামে এত রাতে একজন অপরিচিত কিশোরী আসাতে মা বেশ চিন্তিত হলেন।
মেয়েটি মৃদু গলায় বলল, "আমার নাম রুপা, আমি মা-বাবার সাথে এই গ্রামে এসেছিলাম কাজে, কিন্তু তারা আমাকে এখানে ফেলে চলে গেছে। আমার আর কেউ নেই।"
মেয়েটির কথা শুনে মায়ের মন অস্থির হয়ে উঠল। তার ছোটবেলার স্মৃতি যেন ফিরে আসতে লাগল, যখন তিনিও একইভাবে অসহায় হয়ে পড়েছিলেন। মা হাত বাড়িয়ে মেয়েটিকে ভেতরে ডাকলেন, বললেন, "আয় মা, ভেতরে আয়।"
রুপা ভেতরে আসতেই মা তার মাথায় হাত বুলিয়ে বললেন, "ভয় পাবি না মা, তুই এখন আমার সাথেই থাকবি।"
এরপর দিনগুলো কাটতে শুরু করল। মা এবং রুপা একে অপরের সঙ্গ পেয়ে পরম শান্তি অনুভব করার লাগল। মা রুপাকে পড়াতে শুরু করলেন, প্রতিদিন গল্প শোনাতে থাকলেন তাকে। রুপা মায়ের কাছে বিভিন্ন কাজকর্ম শিখে নিল। তাদের সম্পর্ক ক্রমেই গাঢ় হতে লাগল।
গ্রামের অন্যান্য মানুষজনও রুপাকে পেয়ে খুশি হলো। মা যেভাবে মেয়েটিকে সেই একলা জীবন থেকে আশ্রয় দিয়েছিলেন, সেটি গ্রামের মানুষের মনে উদারতা এবং সম্মান আরও বাড়িয়ে দিল। মা এখন রুপাকে নিয়ে অনেক কিছু ভাবতে লাগলেন, কীভাবে মেয়েটির জীবনে আরও ভাল কিছু করতে পারেন।
একদিন মা রুপাকে নিয়ে গ্রামে ঘুরতে বের হলেন। পথে যেতে এক বৃদ্ধা এলেন, যিনি মায়ের খুব ঘনিষ্ঠ হলেও দীর্ঘদিন দেখা হয়নি। তারা রুপাকে দেখে খুব আনন্দিত হলেন এবং বলেন, "তুমি তো আবার নিজের মনের সন্তান খুঁজে পেয়েছ, তুমি সত্যিই আশীর্বাদ।"
মা হাসলেন, বললেন, "হ্যাঁ, আমি আশীর্বাদ পেয়েছি।" রুপা তাদের আলাপের মাঝে দাঁড়িয়ে স্নিগ্ধভাবে হাসতে লাগল।
মাস কয়েক পর, গ্রামে একটি নতুন স্কুল স্থাপনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হলো। ওসোহায় মা সেই উদ্যোগটির জন্য গ্রামের মানুষের কাছে আবেদন জানান যেন রুপা ও অন্যরা শিক্ষার আলো পেতে পারে। গ্রামের লোকজন তাদের শ্রদ্ধেয় মায়ের এই আবেদন মেনে খুব আগ্রহ এবং উৎসাহের সঙ্গে কাজ করতে শুরু করল। স্কুলটি দ্রুত গড়ে উঠল এবং তার প্রথম দিন থেকেই রুপার নতুন যাত্রা শুরু হলো।
স্কুল শুরু হলে রুপা দেখতে পেল কত কিছু শেখার আছে জীবন এবং পৃথিবী সম্পর্কে। ওসোহায় মা তাকে প্রতিদিন পাঠিয়ে দেন আর বলেন, "শিখতে থাক মা, এগিয়ে চল।"
এরপর দিন যায়, মাস যায়, বছরও কেটে যায় এইভাবেই। রুপা বড় হতে থাকে, ওসোহায় মা তাকে জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে প্ররোচনা দিয়েছেন। রুপা জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে মায়ের আশীর
No comments:
Post a Comment