বাবা: এক নির্ভীক জীবনযোদ্ধা
ভূমিকা
“বাবা” একটি শব্দ, কিন্তু এর পেছনে অগণিত অনুভূতি, ভালোবাসা, এবং সুরক্ষার গুণ রয়েছে। আমাদের জীবনের প্রতিটি ধাপে বাবার ভূমিকা অপরিসীম। একজন বাবা শুধু আমাদের জীবনের এক অংশ নয়; তিনি হলেন আমাদের প্রথম শিক্ষক, আমাদের স্রোত, যিনি আমাদের সঠিক পথ দেখান। বাবার কষ্টের বিনিময়ে অর্জিত আমাদের সকল সুখের মধ্যে একটি বিশেষ স্থান রয়েছে।
বাবার ত্যাগ
আমরা যখন শিশু, তখন আমাদের মনে শুধু খেলার ছলে বাবা সম্পর্কে একটি মূল ধারণা তৈরি হয়। কিন্তু যখন আমরা বড় হতে থাকি, তখন আমরা বুঝতে পারি বাবার জীবন কতটা সংগ্রামী। বাচ্চাদের জন্য হাসি, আনন্দ এবং ভালোবাসার পেছনের একাকী চিন্তা ও সংগ্রাম বাবাদের মনে থাকে। বাবা যখন সকালে ঘুম থেকে ওঠেন, তখন তিনি শুধুমাত্র পরিবারকে সুখী করার নয়; বরং, তারা তাদের স্বপ্নগুলি পূরণের জন্য কঠোর পরিশ্রম করেন।
বাবা কাজ করতে বের হন সকালবেলা এবং বাড়ির কাজে আন্তরিকতা এবং নিষ্ঠার সাথে নিজেকে নিয়োজিত করেন। বছরের পর বছর ধরে, শ্রম ও পরিশ্রমের মাধ্যমে তিনি আমাদের জন্য একটি স্থায়ী ভবিষ্যৎ গড়ে তোলেন। বাবার জীবনের এই দৃঢ়তা আমাদের মনে এক কঠিন প্রভাব ফেলে।
শেখানো শিক্ষাগুলি
বাবা আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা দেন। জীবনজুড়ে আমরা তাঁকে দেখেছি কীভাবে তিনি আমাদের প্রতিটি ভুলের পরে আমাদের মাথায় হাত রেখে বলেন, “কিছু হয়নি। তুমি আবার চেষ্টা করো।”
বাবা বলতেন, “সত্যিকারের সফলতা কখনোই সহজ হয় না। ধৈর্য ধরলে এবং পরিশ্রম করলে সাফল্য অবশ্যই আসবে।” এই শিক্ষাটি আমি জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে প্রয়োগ করেছি।
বাবার কাছ থেকে আমি শিখেছি কিভাবে কঠোর পরিশ্রম এবং লড়াই করে নিজের সৎ পথে চলতে হয়। তিনি আমাকে বুঝিয়েছিলেন যে, সাফল্য আসে না, তা অর্জন করতে হয়। এই জ্ঞান আমাকে জীবনে সফল হতে সাহায্য করেছে।
অসুস্থতা এবং সমস্যা
জীবন কখনো সোজা পথে চলে না। বাবা যখন অসুস্থ হলেন, তখন আমি বুঝলাম তার শারীরিক দুর্বলতা আমাকে কতটা শক দিয়েছে। আমার বাবার অসুস্থতা ছিল একটি কঠিন সময়। তিনি বন্দিশালায় বন্দি হতেও সন্তুষ্ট ছিলেন। আমি মনে করি, বাবা কষ্ট পাওয়া স্বত্ত্বেও তার মনোবল হারাননি।
আমরা সবসময় বাবাকে আনন্দিত রাখতে চেষ্টা করতাম। বাবার হাসি আমাদের জীবনের শক্তি ছিল। মাঝে মাঝে বাবার স্বাস্থ্য নিয়ে উদ্বেগ অনেক বৃদ্ধি পেত। কিন্তু তিনি কখনও আমাদের দুর্বল করতে চাননি।
বাবার প্রেরণা
বাবা শুধুমাত্র পরিবারে নয়, সমাজে একটি আলোচিত ব্যক্তিত্ব। তিনি সারাদিন কাজ করে যাচ্ছেন, কিন্তু সন্ধ্যায় বাড়ি ফিরেও নিজের প্রফেশন নিয়ে চিন্তাভাবনা করেন। বাবা একজন ভালো কর্মী এবং বন্ধু। সমাজের জন্য তিনি এক দৃষ্টান্ত।
তাঁর সামাজিক সেবার গল্পগুলি আকৃষ্ট করতে থাকে। একবার, যখন তিনি বৃদ্ধাশ্রমে কিছু খাবার বিতরণ করতে গেলেন, আমি বুঝতে পারি বাবার মনুষ্যত্ব। তাঁর চোখের জল দেখে আমি শিখলাম, জীবন কেন এত মূল্যবান।
শিশুদের প্রতি আগ্রহ
বাবার প্রতি আমার ভালোবাসার আরেকটি বিশেষ দিক হলো, তার শিশুদের প্রতি আগ্রহ। তিনি শিশুদের জন্য যে ভালোবাসা ও স্নেহ দেখাতেন, তা আমাকে বিপুল আনন্দ দান করেছিল। তিনি সদা হাস রাখতেন, যখনই মা তাকে বলে, "শঙ্কর আজ স্কুলে প্রথম হয়েছে!"
বাবা শিশুদের সঙ্গে খেলা এবং তাদের সঙ্গে গল্প বলা যেভাবে উপভোগ করতেন, তা অসাধারণ। বাবার সঙ্গে কাটানো প্রতিটি মুহূর্ত আমাকে অভিজ্ঞতা ভরে তুলত।
বাবার শিক্ষা
বাবা একজন শিক্ষকের মতোই। তিনি আমাকে শিখিয়েছেন সৎভাবে বাঁচতে, সত্যের পথে চলতে এবং কখনোই প্রতারণা না করতে। জীবনের যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবেলার জন্য অভ্যাস করেছে আমাকে। বাবা বলেছেন, "সত্য প্রকাশের চেয়ে বড় কিছু নেই।"
আমার বাবার জীবনের প্রতিটি শিক্ষা আমাকে তৈরি করেছে একজন ভাল মানুষ হতে। তাঁর কাছ থেকে পেয়েছি ধৈর্যশীলতা, কঠোর পরিশ্রম, এবং আত্মবিশ্বাস। আমি জানি ...See More
No comments:
Post a Comment